শ্রেষ্ঠ চরিত্র

আল্লাহ তাআলা কুরআন পাকে হযরত রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উৎকৃষ্ট চরিত্র ও প্রশংসনীয় গুণাবলির প্রশংসা করে বলেছেন-

وإنك لعلى ځين عظیم

নিশ্চয় আপনি মহান চরিত্রের অধিকারী।-সূরা আল-কালাম (৬৮) : ৪

আরও বলেছেন-

وإن لک لاجرا غير ممنون

আর আপনার জন্য আল্লাহ তাআলার অপরিসীম প্রতিদান রয়েছে।-সূরা আল-কালাম (৬৮) : ৩

স্বয়ং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন এটি

إنما بعثت لأتمم مكارم الأخلاق

উকৃষ্ট চারিত্রিক গুণাবলিকে পূর্ণতা দান করার উদ্দেশ্যেই আমি প্রেরিত হয়েছি। -মুসনাদে বাযযার

এ থেকে জানা গেল, রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পবিত্র সত্তায় সুন্দর ও উৎকৃষ্ট চারিত্রিক গুণের সমাবেশ ঘটেছিল। কেননা, তাঁর প্রত্যক্ষ শিক্ষাদাতা আল্লাহ তাআলা সর্ববিষয়ে পরিজ্ঞাত।

হযরত আয়েশা রাযিয়াল্লাহু আনহা রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের চারিত্রিক গুণাবলি সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হয়ে বলেন-

كان خلقه القرآن

তার চরিত্র ছিল কুরআন। এর বাহ্যিক অর্থ এই, কুরআন পাকে বর্ণিত সকল প্রশংসনীয় চারিত্রিক গুণাবলি দ্বারা তিনি গুণান্বিত ছিলেন।

কাযী আয়ায রহ. কিতাবুশ শিফায় আরও উল্লেখ করেন, (আরও এই যে,) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সন্তুষ্টি ছিল কুরআন পাকের সন্তুষ্টির সাথে এবং তার অসন্তুষ্টি ছিল কুরআনের অসন্তুষ্টির সাথে ওতপ্রােতভাবে জড়িত। উদ্দেশ্য এই, তাঁর সন্তুষ্টি ছিল খােদায়ি আদেশ পালনের মধ্যে এবং অসন্তুষ্টি ছিল খােদায়ি আদেশ লঙ্নে ও পাপ কর্মের মধ্যে।

আধ্যাত্ম জ্ঞানের নির্ভরযােগ্য কিতাব আওয়ারেফুল মাআরেফে আছে, উপরােক্ত বাক্য দ্বারা হযরত আয়েশা রাযিয়াল্লাহু আনহা এ কথা বােঝাতে চেয়েছিলেন যে, কুরআনের মধ্যেই নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের চরিত্র নিহিত ছিল।

সত্য ঘটনা এই, কারও বিবেক-বুদ্ধি ও অনুমান হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মর্যাদার মহান স্বরূপ পর্যন্ত পৌছাতে পারে না এবং আল্লাহ ব্যতীত কেউ এর স্বরূপ চিনতেও পারে না এবং যেমন আল্লাহ তাআলাকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মতাে যথার্থভাবে আর কেউ চিনতে পারেনি।

এর যথার্থ অর্থ আল্লাহ ব্যতীত কেউ জানে না।-মাদারিজুন নবুওয়াত : আব্দুল হক দেহলভী

About the author