খাদ্যবস্তুর মধ্যে সিরকা, মধু, তিলের তৈল এবং মিষ্টি পছন্দ করতেন। এগুলাে আগ্রহ সহকারে গ্রহণ করতেন। খেজুর, শশা, তরমুজ প্রভৃতি ফলের প্রতিও আগ্রহ ছিল। তবে সাধারণ খাদ্য ছিল এত সাদাসিধা যে, কোনাে দিন ভালাে রুটি আহার করেছেন বলে প্রমাণ পাওয়া যায়নি। দু’বেলা আহার খুব কমই করতেন। এক বেলা খেলে অন্য বেলা উপবাস দিয়ে কাটানােই ছিল সাধারণ নিয়ম। মেহমানের ভিড় সবসময় লেগেই থাকত। তা ছাড়া মসজিদে নববী সংলগ্ন কুটিরে যে সমস্ত আত্মনিবেদিত এবং জ্ঞানান্বেষী সাহাবী বাস করতেন, তাদেরকে সাধারণ মুসলমানের সামাজিক মেহমান হিসেবে গণ্য করা হতাে। খাওয়ার সময় অন্যান্য মেহমানের সাথে এদের কিছু লােককেও অবশ্যই শরিক করে নিতেন।
খাদ্যবস্তু বড় কোন পাত্রে সাধারণত কাষ্ঠনির্মিত একটি খাঞ্চায় করে পরিবেশন করা হতাে। সেই পাত্রেই সকলকে নিয়ে তিনি একত্রে আহার করতেন। কোনাে কোনাে সময় সহধর্মিনীগণের অনুরােধে তাদের সাথেও আহারে শরিক হতেন। তবে স্ত্রীদের প্রত্যেককেই সে আহারে শামিল করে নিতেন। পারিবারিক পরিবেশের এ সমস্ত আনন্দঘন অবস্থায়ও মেহমানদের কথা ভুলতেন না। সেই খানা থেকে বাইরে মেহমানদের জন্যে কিছু অংশ পাঠিয়ে দিতেন।
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ছিল তাঁর প্রকৃতিগত বিষয়। সুগন্ধি ব্যবহার ছিল নিয়মিত অভ্যাস। নােংরামি বা অপরিচ্ছন্নতা অপছন্দ করতেন। যেখানে সেখানে থুথু ফেলতে দেখলে অনেক সময় নিজে তা পরিষ্কার করতেন। কাঁচা পেঁয়াজ, রসুন, মুলা ইত্যাদির গন্ধ পর্যন্ত সহ্য করতে পারতেন না। কেউ যেন এ সমস্ত জিনিস খাওয়ার পরই সাথে সাথে মসজিদে না আসে, সে কথা স্মরণ করিয়ে দিতেন।