রাসূল সা. এতো বেশি এবাদত করতেন যে পা ফুলে যেতো। ফেটে ফেটে যেতো। তাঁকে প্রশ্ন করা হলো- আপনার পূর্বের ও পরের সকল পাপ ক্ষমা করে দেয়া হয়েছে! তবুও এতো কষ্ট করেন! রাসূল বললেন, ‘আমি কি শোকর আদায়কারী বান্দা হব না!’ (সহীহ বুখারী: ১১৩০)
রাসূল সা. রাতে এগার রাকাত নামাজ পড়তেন। কখনো পড়তেন তের রাকাত।
তিনি চার রাকাত সালাতুত দোহা পড়তেন। মাঝে মাঝে এর চেয়েও বেশি পড়তেন। (সহী মুসলিম:৭১৯)
রাসূলের রাতের নামাজ হতো অনেক দীর্ঘ। প্রায় রাতের নামাজে এক রাকাতে তিনি পাঁচ পারার মতো তেলোয়াত করতেন। (সহী মুসলিম: ৭৭২)
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের দৈনন্দিন নামাজের রাকাত সংখ্যা ছিল চল্লিশেরও বেশি। এর মধ্যে ফরজ নামাজ সতের রাকাত। (কিতাবুস সালাত: ১৪০, ইবনুল কাইয়িম রহ.)
মূলকথা হলো এবাদতে তিনি এক অপার্থিব স্বাদ, গভীর হৃদ্যতা ও বর্ণনাতীত প্রশান্তি পেতেন। এজন্য হযরত বেলাল রা.কে বলতেন, ‘বেলাল! আযান দিয়ে আমাদেরকে প্রশান্তি দাও।’ (সুনানে আবু দাউদ:৮৫৪৯)
রাসূলুল্লাহ বলেছেন, ‘আমার চক্ষুশীতলতা রয়েছে নামাজে।’ (সুনানে নাসাঈ: ৭/৬১)
নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ইবাদত
গোধূলী লগ্নে মসজিদে হারামের মনোরম দৃশ্য